খাজা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

INSTITUTE CODE: 50474 | EIIN NO: 139902

Civil

পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল।।একজন সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ার বলতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেই কল্পনা করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরাতন, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজঃ

সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে,ব্রীজ,পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্থঅপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পরিসরঃ

স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং

বাড়ি,হোটেল, পার্ক, ব্রীজ, বিল্ডিং ইত্যাদির উপরে নিজস্ব ভার বা বাইরের ভার প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বাতাস,পানি,ভুমিকম্প,তাপমাত্রা ইত্যাদির প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য সিমেন্ট,বালি,রি-ইনফোর্সমেন্ট,কাঠ, অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে সঠিক ডিজাইন করা হলো এই শাখার কাজ।

এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং

পরিবেশ তথা বাতাস এবং পানির দুষণ রোধ, বিশুদ্ধকরণ ইত্যাদি করা এই শাখার কাজ। বর্তমানে এটি একটি গুরুত্বপুর্ন শাখা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য, মল ইত্যাদি অপসারণ এবং বিশুদ্ধকরণ করা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই শাখাতে।

জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রায় সকল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাতেই এটি কাজে লাগে। কারণ বেশির ভাগ স্ট্রাকচার ভুমির উপর অবস্থিত। মাটি বা পাথরের এর উপর স্ট্রাকচার এর প্রভাব এবং এদের বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি। ভুগর্ভের সিপেজ,ভুমিকম্পের প্রভাব, স্থিতিশিলতা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাটি। বাধ, রিটেইনিং ওয়াল, ফাউন্ডেশন ইত্যাদির আংশিক ডিজাইন করা হয় এই শাখার মাধ্যমে।

ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং

পানি আমাদের জিবনে অনেক গুরুত্বপুর্ন এটা আমরা সবাই যেমন জানি, তেমনি এটাও ঠিক যে এটি অত্যান্ত্য সাধারণ একটি কথা। আবার এই পানি আমাদের মরণও ডেকে নিয়ে আসে। তাও আমরা জানি। পানি সম্পদ প্রকৌশল পানির ভৌত অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। বন্যা, শহরের-কারখানা-সেচ এর পানি সরবরাহ, নদি ভাঙ্গন রোধ, নদির শাষন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা এবং ডিজাইন করে থাকে। হাইড্রলিক পাওয়ার, বাধ, খাল, পানিধস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি।

ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

কোন সমাজের বৈশিষ্ঠ্য বা গুন এর যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। কোন সমাজের উন্নয়ন অনেকটা প্রভাবিত হয় এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। মানুষ, মালামাল ইত্যাদি পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে গবেষনা, ডিজাইন, সমস্যা, সমাধান নিয়ে কাজ করে ট্র্যান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। অল্প রাস্তায় অধিক পরিবহন সুবিধা, দুর্ঘটনা কমানো, খরচ কমানো ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এই শাখাটি।

কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

এই শাখাতে আলোচনা করা হয় যে কি ভাবে একটি কাঠামো গঠন করতে হবে। অর্থের ব্যবহার, সময়ের সংক্ষেপন, প্রয়োজনীয় মালামাল-যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যোগান, কাঠামো গঠনের পদ্ধতি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয় শাখাতে।

আরবান এবং কম্যিনিট প্লানিং

নগরায়ণ এবং শহর পরিকল্পনা করা হয় মুলত একটি গোষ্ঠি নিয়ে কাজ করা। একটি গোষ্ঠি বা জোট এ কি কি লাগতে পারে এবং কিভাবে লাগাতে হবে তা নিয়ে গবেষণা করা হয় এই শাখাতে।

কাজের ক্ষেত্র :

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাকুরির ক্ষেত্র যে সিভিলেই,সেটা এখন আর কারো অজানা নয়। ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের সড়ক ও জনপদ, গণপূর্ত বিভাগ, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্য মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ইত্যাদি। শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক চাহিদা। বাংলাদেশে সরকারি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের একটা বড় অংশ নিয়োগ হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে। দেশের ক্রমবর্ধমান নির্মান কাজের চাহিদার কারনে বেসরকারি খাতে ব্যাপক সিভিল ইঞ্জিনিয়াদের চাহিদা রয়েছে।

কেন খাজা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের সিভিল বিভাগে ভর্তি হবেন?

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একজন শিক্ষার্থীর ভাল করার প্রথম শর্ত থিওরী ভালভাবে জানা এবং হাতেকলমে কাজ শেখা। এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ জন্য থাকা প্রয়োজন পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং যথেষ্ট ল্যাব উপকরন। খাজা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সিভিল বিভাগের জন্য রয়েছে ৫ জন দক্ষ শিক্ষক ও ব্যাবহারিক ক্লাসের জন্য যথেষ্ট ল্যাব উপকরন। শিক্ষার্থীদের ষ্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনিং শেখানোর জন্য রয়েছে ২টি কম্পিউটার ল্যাব। এছাড়া এখনকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিষ্টারে বিভিন্ন বাস্তব শিল্প কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের বাস্তব কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে অবহিত করার জন্য।

ভর্তির যোগ্যতাঃ

যে কোন বিভাগ হতে নূন্যতম ২.০০ জিপিএ সহ এসএসসি/সমমান পাশ

টিউশন ফিঃ

ভর্তি ফিঃ ৫০০০/- (একবার)
লাইব্রেরি ফি/আইডি কার্ড, বেতন বই ও অন্যান্যঃ ৫০০/-(একবার)
ল্যাব ফিঃ ২০০০/-(একবার)
প্রতি মাসে বেতনঃ ১৭৫০/- ( ৪ বছরে ৪৮ মাসের জন্য)
সেমিষ্টার ফিঃ ০০০০/- (প্রতি ৬ মাস পর পর ৮ টি সেমিষ্টার)
৪ বছরে মোট খরচঃ ৯১,৫০০/-

অন্যান্য সুবিধাঃ

# এসএসসির জিপি ভিত্তিক টিউশন ফি ১০% থেকে ১০০% মওকুফের সুযোগ। এ+ প্রাপ্তদের টিউশন ফি ব্যাতিত পড়ার সুযোগ।
# ১০০% ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য হালিমা-আকবর ফাউন্ডেশন কর্তৃক  উপবৃত্তি ও দরিদ্র মেধাবীদের বিশেষ সুবিধা।
# মেয়েদের জন্য বেতনের ২৫% ছাড়ে পড়ার বিশেষ সুযোগ।
# কোন প্রকার আলাদা প্রাইভেট টিউশন নেয়ার প্রয়োজন নেই ।
# প্রতি বছর কোর্স সমাপনীর পরে যোগ্যতা সাপেক্ষে ক্যাম্পাসের সহায়তা সরাসরি চাকুরীর সুযোগ।

ভর্তির জন্য যোগাযোগঃ

খাজা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মহাখালী,ঢাকা
৫৮, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্বরণী, রসুলবাগ, মহাখালী, ঢাকা।
ফোনঃ ০২-৯৮৩০৫৯১, ০১৩২৬ ৪৮০৫২২, ০১৩২৫৮৮৫১৭০-৭৩.

E-mail: kpi.dhaka.bd@gmail.com,
Facebook/kpi.ac.bd
Website(Official): www.kpiedu.com

Scroll to Top
Open chat
Scan the code
Hello 👋
Can we help you?