অটোমোবাইল টেকনোলজি
বর্তমান যুগে ক্যারিয়ার গড়তে প্রয়োজন নিশ্চিত ও কর্মমুখী শিক্ষা এবং এর সাথে সঠিক দিক নির্দেশনা। এই অবস্থায় যতগুলো বিষয় সামনে আসে তার মধ্যে অন্যতম হলো অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। সম্ভাবনাময় অটোমোবাইল শিল্পে কাজ করতে প্রয়োজন বেশ কিছু দক্ষ অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার। চাইলে আপনিও পারেন এই বিষয়ে লেখাপড়া ও সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করতে।
অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত চাকা বিশিষ্ট মোটরযান সংক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং। মোটরগাড়ির নকশাকরণ, প্রস্তুতকরণ, কার্যপ্রণালী, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা- এসবকিছুই অটোমোবাইল টেকনোলজির অন্তর্গত। এটি মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, সফটওয়্যার ও সেফটি- এই পাঁচটি ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সমন্বয়। জনসংখ্যা ও যানবাহনের ক্রমাগত বৃদ্ধি ও উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তির সাথে তাল মেলানোর জন্য দিন দিন এই সেক্টরটির প্রয়োজনীয়তা ও জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই শিল্পে এখন প্রয়োজন বেশ কিছু দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার যারা একাধারে উৎপাদন, বিক্রি ও মেরামতে পারদর্শী। তাদেরকে ডিজাইন, ড্রইং ও ক্যালকুলেশনে অভিজ্ঞ হতে হয়। কারিগরি ইঞ্জিনিয়াররাই সাধারণত এই ধরনের কাজ করে থাকে। অন্যদিকে যদি কেউ গাড়ি কেনাবেচায় ভালো পারদর্শী হতে চায় তাহলেও এই বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হবে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গাড়িটি নির্বাচন করে তার হাজির করা, ইঞ্জিন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করারও এই বিভাগের জনবলেরই কাজ।
অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা যে যে বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকেনঃ
১। অটোমোবাইল কন্সট্রাকশনের জন্য ধাতু ও অন্যান্য দ্রব্য নির্বাচন
২। অটোমোবাইলের বিভিন্ন গবেষণা, নিরীক্ষা ও প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ
৩। নতুন গাড়ির মডেলের জন্য বাজেট তৈরি
৪। মূল গাড়ি তৈরির আগে অনুরূপ মডেল তৈরি
৫। গাড়ি প্রোডাকশনের কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিত করা
৬। গাড়ি তৈরির প্রতিটি ধাপে সেফটি নিশ্চিত করা
৭। গাড়ি তৈরি সক্রান্ত ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ ও প্রয়োজন অনুসারে সঠিক ব্যবহার
৮। প্রয়োজন অনুসারে গাড়ির ইম্প্রুভমেন্ট সক্রান্ত কাজ করা
৯। তথ্যাদি ডকুমেন্টেনশন
২। অটোমোবাইলের বিভিন্ন গবেষণা, নিরীক্ষা ও প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ
৩। নতুন গাড়ির মডেলের জন্য বাজেট তৈরি
৪। মূল গাড়ি তৈরির আগে অনুরূপ মডেল তৈরি
৫। গাড়ি প্রোডাকশনের কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিত করা
৬। গাড়ি তৈরির প্রতিটি ধাপে সেফটি নিশ্চিত করা
৭। গাড়ি তৈরি সক্রান্ত ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ ও প্রয়োজন অনুসারে সঠিক ব্যবহার
৮। প্রয়োজন অনুসারে গাড়ির ইম্প্রুভমেন্ট সক্রান্ত কাজ করা
৯। তথ্যাদি ডকুমেন্টেনশন
ভর্তির যোগ্যতাঃ
- SSC / সমমান পরীক্ষায় যেকোন গ্রুপ থেকে জিপিএ ২.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ। যেকোন সালের পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
- HSC (ভোকেশনাল) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে শূন্য আসনে ৪র্থ পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
- HSC (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শূন্য আসনে ৩য় পর্বে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
টিউশন ফিঃ
ভর্তি ফিঃ ৫০০০/- (একবার)
লাইব্রেরি ফি/আইডি কার্ড, বেতন বই ও অন্যান্যঃ ৫০০/-(একবার)
ল্যাব ফিঃ ২০০০/-(একবার)
প্রতি মাসে বেতনঃ ২০০০/- ( ৪ বছরে ৪৮ মাসের জন্য)
সেমিষ্টার ফিঃ ৫০০০/- (প্রতি ৬ মাস পর পর ৮ টি সেমিষ্টার)
৪ বছরে মোট খরচঃ ১,৪৩,৫০০/-
লাইব্রেরি ফি/আইডি কার্ড, বেতন বই ও অন্যান্যঃ ৫০০/-(একবার)
ল্যাব ফিঃ ২০০০/-(একবার)
প্রতি মাসে বেতনঃ ২০০০/- ( ৪ বছরে ৪৮ মাসের জন্য)
সেমিষ্টার ফিঃ ৫০০০/- (প্রতি ৬ মাস পর পর ৮ টি সেমিষ্টার)
৪ বছরে মোট খরচঃ ১,৪৩,৫০০/-
অটোমোবাইল টেকনোলজি’র কর্মক্ষেত্র সমূহঃ
- অটোমোবাইল শিল্পে কাজের ক্ষেত্র এখন বেশ বিস্তৃত। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেভাবে গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে, তাতে দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির চাহিদাও বাড়ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে ২৫টিরও বেশি গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করছে এবং এই শিল্পকে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করছে। আমাদের দেশে গাড়ি উৎপাদনের সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের দেশে কার সার্ভিস সেন্টারের তুলনায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা বেশ কম। তাই এ সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি। এ বিষয়ে পড়ালেখা করে তাই সাধারণতই চাকরির জন্য বসে থাকতে হয় না। এছাড়া দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে স্বনামধন্য মাল্টিন্যাশনাল কার কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশের অটোমোবাইল সেক্টরে যুক্ত হচ্ছে। এসব মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বেতন স্ট্রাকচার দেশের অন্যান্য অনেক ডিপ্লোমা চাকরির চেয়ে অনেক ভালো।
- যারা পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করেন, তাদেরও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের জন্য অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকেন। গাড়ি বিক্রির দোকানেও রয়েছে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ। আমদানি করা নতুন গাড়ি কিংবা রি-কন্ডিশন গাড়ির ত্র“টি সারাতে কাজ করে থাকেন তারা। তাছাড়া এ বিষয়ে পড়ালেখা করে বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগও আছে অনেক। বিদেশে গাড়ির কারখানা থেকে শুরু করে গাড়ি মেরামতের গ্যারেজে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
- অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা চাইলেই নিজেরাই একটি কার সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠান দিতে পারেন। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ১৮ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। চাইলে এ পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে। প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে পারলে এ খাতে দেশের প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
- সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে ইস্পাত প্রকৌশল অধিদপ্তর ও অন্যান্য মেকানিক্যাল ইকুইভ্যালেন্ট জব ফিল্ডে।